(২০-২৫) দিনে ছেলেদের চুল গজানোর অভিনব টেকনিক
আমাদের বর্তমান যুগে অল্প বয়সে মাথার চুল পড়ে যাচ্ছে এই নিয়ে আমরা প্রাই সময় চিন্তিত থাকি। আজকের এই আর্টিকেলে চলুন দেখে নেয়া যাক কি কি কারনে আমাদের চুল পড়ে যাচ্ছে-এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হল।
তাই চুল গজানো ঘরোয়া টেকনিকগুলো জানা থাকলে আপনি সহজে এই প্রক্রিয়াই চুল গজাতে পারেন। আমাদের এই আর্টিকেলে চুল গজানো টেকনিক গুলো নিয়ে আলোচনা করব। তাই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে বারে বারে পড়ুন।
পোস্ট সুচিপত্রঃ ছেলেদের মাথার চুল দ্রত গজানো সম্পর্কিত
- অল্প বয়সে ছেলেদের মাথার চুল ওঠার কারন
- যত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজানো যাই
- বিশেষ করে ছেলেদের মাথার সামনের চুল গজানো
- ছেলেদের মাথাই কি দিলে চুল গজাবে
- কোন কোন ভিটামিনের অভাবে চুল অকালে পড়ে
- চুল গজানো ঘরোয়া প্রাকৃতিক টেকনিক
- চুল ওঠা বন্ধে চিকিৎসকের পরামর্শ
- পরিশেষে
অল্প বয়সে ছেলেদের মাথার চুল ওঠার কারণ
চুল পড়া সমস্যার অন্যতম কারণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হওয়া। যেকোনো জীবাণু দেহের ভিতরে প্রবেশ করতে দিতে বাধা প্রদানকারী ইমুন সিস্টেম যখন লোম গ্রন্থির সুস্থ টিস্যুকে কিছু আক্রমণ করে তখন চুল পড়া সমস্যা দেখা দেয়। নিচে চুল পড়ার বিভিন্ন কারণ বর্ণনা করা হলোঃ
হরমোনজনিত কারণ
- চুল পড়ার সমস্যা সাধারণভাবে বংশগতভাবে হয়ে থাকে
- জিনগত কারণে নির্দিষ্ট কিছু সেক্স হরমোন চুল পড়ার সমস্যাটা বৃদ্ধি করতে পারে
- ভয়-সন্ধিকালে সাথে সাথে ছেলেদের চুল পড়া সমস্যা বেড়ে যেতে পারে হরমোন পরিবর্তনের এবং ভারসাম্যহীনতার ফলে অস্থায়ী যোগ করতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় এবং সন্তানের জন্মদানের ফলে অনেকে চুল বড় সমস্যা হতে পারে।
- জন্ম বিরতিকরণ পিল অনিয়মিতভাবে খাবার ফলে অথবা মেনুপজের পূর্বে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- থাইরয়েড গ্রন্থি সঠিকভাবে কাজ না করলে ইমন সিস্টেম লোন গ্রন্থিকা প্রমাণ করে করলে
- ত্বকে কোন ধরনের ইনফেকশন হলে মেডিকেশন ওষুধ ব্যবহারের কারণে
- যেসব রোগের ওষুধ ব্যবহারের ফলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া চুল পড়তে পারে ক্যান্সার, আর্থাইটি্ বিষন্নতা, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি।
যত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজানো যাই
আমরা অনেকে মনে করি যে বয়স ৪৫-৫০ বের হয়ে গেলে আর চুল গজানো যাবে না। বিষয়টাও এইরকম না বিষয় হলো আমাদের ফলিকলগুলো অনেক সময় ড্যামেজ হয়ে যায় তেল মাখা বা ই ক্যাপ খাওয়া বা ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া খেয়ে এ ফলিকলগুলো উজ্জীবিত করলে চুল গজানো যায়। অর্থাৎ ড্যামেজকৃত বা ক্ষতিগ্রস্ত চুলের গোড়া যদি আবার রিপেয়ার করা যায় সেক্ষেত্রে চুল গজানো যাই।
এখন বিষয় হল বয়সটা কোন বিষয় না, চুল যে কারণে ঝরে পড়ে সেই কারণগুলো কে চিহ্নিত করে আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।যেমন কেমিক্যালযুক্ত শ্যাম্পু বন্ধ করতে হবে তার পরিবর্তে হারবাল শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে,দ্রুত ঘুমাতে হবে, চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে ভিটামিন সমৃদ্ধ ই ডি এগুলো খেতে হবে - তাহলেই যে কোন বয়সে চুল গজানো জেতে পারে।
বিশেষ করে ছেলেদের মাথার সামনের চুল গজানো
আমরা অনেকে মাথার সামনে দুই সাইডে চুল ওটা নিয়ে বেশি চিন্তিত বা উদ্বিগ্ন থাকি। সমস্ত মাথাতে যে পদ্ধতিতে তেল মেখে চুল গজানো হয় ঠিক একইভাবে মাথা সামনে দুই সাইডে কেউ যদি মনে করেন যে দুই সাইডে আমি চুল গজাবো সে ক্ষেত্রে মাথা দুই সাইডে ভিটামিন ই রাতে ঘুমানোর আগে মেখে শুয়ে পড়েন। প্রতিদিন এভাবে 20 থেকে 25 দিন করেন এবং ভিটামিন যুক্ত খাবার গুলো খান আর সময়মতো ঘুমান এবং চিন্তা থাকেন।
শুধুমাত্র দুই সাইডে ভিটামিন ই ক্যাপ দিলেই হবে না। আরো জানার বিষয় হল যখন দুই সাইডে ই ক্যাপ লাগানোর পরে ডোলে ডোলে হালকা করে দু চার ছয় মিনিট মালিশ করতে হবে। যতক্ষণ না চুলের গোড়া দিয়ে চুলের গোড়ায় পৌঁছায় অর্থাৎ ফলিকলগুলোকে উজ্জীবিত করতে হবে।
ছেলেদের মাথাই কি দিলে চুল গজাবে
আরো একটু সহজ ভাবে যদি আমরা বলতে চাই যে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে যে কিভাবে মাথা চুল বাজাবে মাথায় এর জন্য প্রথম ধাপ হলো
১। কেমিক্যাল যুক্ত শ্যাম্পু সম্পন্নরূপে বন্ধ করতে হবে এবং বাজার থেকে খুঁজে হারবাল শ্যাম্পু নিয়ে এসে চুলে ব্যবহার করতে হবে। মন স্থির করতে হবে সারা জীবন যেন হারবাল সিম্পু ব্যবহার করে যাওয়া যায় কোন প্রকার কেমিক্যাল শ্যাম্পু আর ব্যবহার করা যাবে না।
২। প্রতিদিন ই ক্যাপ ক্যাপসুল খেতে হবে সকালে একটা ও রাতে একটা
৩। প্রতিদিন রাতে তেল মাখতে হবে দিয়ে শুয়ে পড়তে হবে।
আরও পড়ুনঃ চুল গজাতে ভিটামিন ই ক্যাপ এর সুবিধা
কোন কোন ভিটামিনের অভাবে চুল অকালে পড়ে
ভিটামিন এ এর অভাবে চুল রুক্ষ ও প্রাণহীন হয়ে ওঠে আবার অতিরিক্ত ভিটামিন এর জন্য চুল ঝরে পড়তে পারে। খাদ্য তালিকায় সবুজ শাকসবজি থাকা প্রয়োজন।কমতে পারে তাই ভিটামিন ই যুক্ত খাবার বেশি করে খাবেন দরকার হলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল সপ্তাহে ১-২ টি পাবেন কেনার আগে জিজ্ঞেস করে নেবেন কারণ খাওয়ার জন্য চুলের জন্য আলাদা ক্যাপসুল পাওয়া যায়। আপনি চাইলে খাওয়ার একটা চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ভিটামিন সি এর অভাবে সুস্থ হয়ে ওঠে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় লেবু জাতীয় ফল কমলালেবু কেমন মাল্টা ইত্যাদি থাকা প্রয়োজন।
ভিটামিন বি চুলকে চকচকে অভিনয় করে তোলে ডিম, কলা, বাদাম, কলিজা ও ডালে রয়েছে ভিটামিন বি।পুরুষ ও মহিলাদের বিভিন্ন কারণের জন্য চুল ঝরে পড়ে ভিটামিন এ ভিটামিন বি ভিটামিন সি ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন ই অর্থাৎ ভিটামিন এ বি সি ডি ই। এই ভিটামিন গুলি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে নেওয়া হয় তাহলে একদিকে যেমন আপনার চুলের বৃদ্ধি হবে অপরদিকে আপনার শরীর সুস্থ সকল থাকবে এবং আপনাকে কোন রোগবালা তাড়াতাড়ি আক্রমণ করতে পারবে না।
চুল গজার ঘরোয়া প্রাকৃতিক টেকনিক
চুল গজার ক্ষেত্রে আমরা মেডিসিন ভিটামিন ই ক্যাপ ইত্যাদি খাওয়ার পরেও সাধারণত আমরা প্রাকৃতিকভাবে চুল গজাতে পারি। আমাদের কিছু ঘরোয়া বাস্তবধর্মী কৌশল আছে যেগুলো সাহায্য আপনারা নিতে পারেন।
১। রাতে কালজিরার তেল বেশি পরিমানে নিয়ে মাথাই এমনভাবে মালিশ করুন যেন চুলের লোমকূপ দিয়ে তেল চুলের গোঁড়াই পৌঁছায়। তারপর মাথায় তেল দিয়ে শুয়ে পড়ুন। সকালে উঠে হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কিন্তু এখানে বিশেষভাবে মনে করা দরকার বা আপনাদের জানা দরকার যে অবশ্যই হারবাল শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।কোন প্রকার রাসায়নিক বা ক্যামিকেল যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে না। এসব কেমিক্যাল যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করার ফলে আমাদের চুলের গোড়ার ফলিকল গুলো ড্যামেজ করে দিচ্ছে দিনের পর দিন যা আমরা বুঝতে পারছি না।এভাবে ২০-২৫ দিন মতো ব্যবহার করুন দেখবেন এক এক করে চুল গজাতে শুরু করেছে।প্রমাণ স্বরূপ প্রথম দিন মাথার ছবি তুলে নিয়ে রাখতে পারেন তারপর ২০-২৫ দিন পর আবার ছবি তুলে দেখবেন যে অনেক ছোট ছোট চুল গজায়ছে।
চুল উঠা বন্ধে চিকিৎসকের পরামর্শ
আপনারা যারা চুল উঠা বন্ধে ঘরোয়া কিংবা ইউনিক কোন টেকনিক অবলম্বন করতে না চান সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। চুল ওঠা বন্ধে হোমিও ঔষধ ভালো কাজ করে। আপনার বাড়ির আশেপাশে কোন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ করে আপনারা ওঠা চুল গজানোর জন্য পদক্ষেপ নিতে পারেন। শুধুমাত্র ওষুধ খেলেই হবে না যদি হরমোনাল আরমান আলিফ ব্যালেন্স থাকে সেক্ষেত্রে হরমোনের ওষুধ প্রয়োগ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে হরমোনের ওষুধ খেতে হবে।
আর জেনেটিক সমস্যা হলে অনেক সময় দেখা যায় যে রোগীর চুল গজানোর ক্ষেত্রে অনেক সময় লাগতে পারে যেমন ২০-২৫ দিনে এক মাসের পরিবর্তে সাত আট মাস লেগে যেতে পারে এক্ষেত্রে চিন্তা বা উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। যেহেতু জেনেটিক সেহেতু একটু কথাটা মেনে সামনের দিকে আপনাকে চিকিৎসা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
আর পড়ুনঃ চুল গজাতে হারবাল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন
পরিশেষে
আমার মতামত আমাদের স্বাধীনতা চুল ঝরে পড়া নিয়ে কোন চিন্তা হয় না। চিন্তা তখনই হয় যখন চুল পড়ে গিয়ে চাদি ফাঁকা হয়ে যায় মাথার চুল যেন ঝরে না যায় সেক্ষেত্রে ২০-৩০ বছর বয়সে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আজকের এই আর্টিকেলে চুল কেন ঝরে পড়ে বা বিভিন্ন বিষয়ে তুলে ধরা হয়েছে বা আলোচনা করা হয়েছে।
আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন হন তাই চুল ঝড়ে পড়ার পর যে কোন একটি টেকনিক গ্রহণ করবেন যেটা আপনার ভালো লাগে আর সেটাকে অনুসরণ করবেন।"স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল" এই বাক্যটিকে যারা আকড়ে ধরবে তাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।শিক্ষিত হয়ে যদি অশিক্ষিত মানুষের মত কাজ করি তাহলে যে কোন শিক্ষায় গ্রহণ করি না কেন কোন স্বার্থকতা থাকবে না।
lifechange24 এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url