হোমিও চিকিৎসাই ৩ মাসে অভারি সিস্ট দূর করুন

 

বর্তমান যুগে মহিলাদের একটি গুরুতর স্বাস্থ্য রোগ হল পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS)অনিয়মিত মাসিক থেকে শুরু করে গর্ভাবস্থার সমস্যা সহ নারীদের অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। পিসিওএস সমস্যার পেছনে জিন,পরিবেশ এবং লাইফ স্টাইল পরিবর্তন, পুষ্টিকর  খাবারের ঘাটতি-এর মত বেশ কিছু কারণ দায়ী।

ওভারি সিস্টের সমস্যা দূর  করুন মাত্র তিন মাস

পিসিওএস রোগ আক্রান্ত নারীদের কার্বোহাইড্রেট ও চিনি কম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আজকের এই আর্টিকেলে ওভারি সিস্ট দূরীকরণ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। তাই এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে  শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ওভারিয়ান সিস্ট  দুরীকরন সম্পর্কিত


ওভারিতে সিস্ট কেন হয়

পলিটিস্টিক ডিম্বাশয় সিন রোমে মহিলারা কেন শিকার হওয়ার সঠিক কারণটি পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে বেশ কয়েকটি ঝুঁকির কারণ রয়েছে তা জানা যায়।যা ডিম্বাশয় এর সিস্ট তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এর মধ্যে রয়েছে 
অতিরিক্ত ইনসুলিনের উপস্থিতি ইনসুলিন হরমোন যা অগ্নাশয় উৎপাদিত হয় যা আমাদের দেহের শক্তি সরবরাহের জন্য শক্তি সরবরাহ করার জন্য শরীরে কার্বোহাইড্রেট থেকে বিভিন্ন শর্করা ব্যবহার করতে সক্ষম করে। কখনো কখনো পোস্টটি ইনসুলিনে পছন্দসই ফাংশনে শোষিত না হতে পারে যা ইনসুলিনকে অকেজো করে তোলে।অতএব এটি দেহে রক্তের শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির কারণ ব্যবহার করা হয় না উৎপাদন করে যা একটি পুরুষ হরমন ফলে 

নিম্ন গ্রেডের প্রদাহ বি সি ও এস এ ভুগছেন এমন মহিলারা তাদের দেহে প্রদানের মাত্রা আরও বাড়িয়ে আক্রান্ত হতে পারে। প্রদাহ ভোগার অন্যতম প্রধান কারণ স্থুলত্ত। বিভিন্ন চিকিৎসা গবেষণায় দেখা গেছে যে অতিরিক্ত প্রদাহ উত্তর তার এন্ড্রোজেনের স্তরে নিয়ে যায় বংশগতি বেশ কয়েকটি চিকিৎসা গবেষণায় আরো কিছু বিশেষ দিন রয়েছে যা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হলে ওভারিয়ান সিস্ট হতে পারে।
অতিরিক্ত অ্যান্ড্রোজেন যখন ডিম বয়স হয় গুলি অতিরিক্ত অ্যান্ড্রোজেনের অস্বাভাবিক স্তর ছেড়ে দেই তখন এবং ব্রণ হতে পারে 
পিসিওএস এর সর্বাধিক সাধারণ লক্ষণ যা আপনার ইঙ্গিত দেয় যে আপনার  ল্যাপারস কপিক ডিম্বাশয় এর সিসটেকটমি র প্রয়োজন হতে পারে সর্বাধিক সাধারণ লক্ষণগুলি হলঃ

  • অনিয়মিত সময়সীমাঃ  পিসিওএস রয়েছে এমন মহিলারা ডিম্বাশয় সঠিকভাবে বা একেবারেই ডিম্বটন করতে পারে না কারণ ডিম্বাশয় সিস্টগুলি প্রতি মাসে জরায়ুর আস্তরণ গুলি ছড়িয়ে দেওয়া থেকে বিরত করে। সহ মহিলারা বছরে ৮ পিরিয়ডেরও কম পেতে পারেন।
  • ভারী রক্তক্ষরণঃকখনো কখনো সিস্ট  বাধা হওয়ার কারণে  জরায়ু আস্তরণের দীর্ঘ সময় ধরে আপ  হয় এবং পুরোপুরি ফাটল ধরে, ফলে সাধারণ সময়ের চেয়ে ভারী হয়।
  • চুলের বৃদ্ধিঃ  এটি পি সি ও এস এর সর্বাধিক সাধারণ লক্ষণ ৭০ ডিগ্রি শতাংশেরও বেশি মহিলারা মুখ এবং শরীরের অঙ্গ যেমন পেছন,পেট বা স্তনের মতো তুলে বৃদ্ধি রয়েছে বলে জানা যায়।অতিরিক্ত চুল বৃদ্ধি এই অবস্থা হিরসুটিজম বলে 
  • ব্রণঃ  দেহে পুরুষ হরমোনের উৎপাদন তৈলাক্ত ত্বকের কারণ যা মুখ বুক ও উপরের পিঠে ব্রেক আউট করে। 
  • ওজন বৃদ্ধিঃ  পিসিওএস এর আরো একটি সাধারন লক্ষণ। পিসিওএস আক্রান্ত  মহিলাদের ৮০ %  ওজনের সমস্যা এবং স্থূলকায়।  
  • পুরুষ প্যাটারনে টাক পড়েঃ মাথার ত্বকে চুল পাতলা হতে শুরু করে এবং পড়তে শুরু করে 
  • ত্বকের গা ডার্ক হওয়াঃ পি সি ও এস এর কারণে ত্বকের গা ডার্ক প্যাঁচ থাকতে পারে যা ঘাড়ে কুঁচিতে এবং স্তনের নিচে শরীরের ক্রিজ  সৃষ্টি করতে পারে।
  • মাথা ব্যথাঃ শরীরে হরমোনিয় ওঠানামা  কিছু মহিলার মাথা ব্যথাকে ট্রিগার করতে পারে।

ওভারিতে সিস্ট হলে সহবাস করা যায় কি 

ওভারিতে সিস্ট হলে যৌন মিলন করা সম্ভব কারণ সেই সিস্টটি আপনার যোনিতে নয় বরং আপনার ডিম্বাশয়ে রয়েছে।যদি আপনার পেট সিস্টের কারণে সংবেদনশীল হয় তবে এটি অস্বস্তিকর হতে পারে এবং আপনি হয়তো এটি ফেটে যাওয়ার আগে অস্ত্র প্রচারের  মাধ্যমে অপসারণ করতে চাইতে পারেন।তবে এটি সৌম্য কিনা তাও খুঁজে বের করতে পারেন। সর্বোপরি,এটি ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারও হতে পারে। 

সাধারণত আপনার দুটি ডিম্বাশয় থাকে এবং যদি একটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবুও আপনার একটি অবশিষ্ট থাকবে যা আপনাকে উর্বরতা বজায় রাখবে তাই সিস্ট দিয়ে ডিম্বাশয় সম্পন্নরূপে অপসারণ করা হলেও আপনি এখনো সন্তান ধারণ করতে পারেন।আপনার ডাক্তারের সাথে সিস্ট সম্পর্কে কথা বলা উচিত কারণ আপনার পেটের উপর যে কোন চাপের ফলে সিস্টটি ফেটে যেতে পারে,যার ফলে সংক্রমণ হতে পারে এটি ফেটে গেলে ব্যাথা হবে এবং অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হতে পারে।তবুও এর অর্থ হল যৌনতার সময় এবং অন্যান্য কার্যকলাপের সময়েও আপনাকে কিছুটা সতর্ক থাকতে হবে। 

ওভারি সিস্ট হলে কি বাচ্চা হয় না

সিস্ট এর সাথে বাচ্চা হওয়ার বা না হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই।সিস্ট থাকলেও বাচ্চা নেওয়া যায়। ওভারিয়ান সিস্ট ডিম্ব স্ফটনের সমস্যা সৃষ্টি করে। ফলে গর্ভধারণ কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু তারও চিকিৎসা আছে। তাই অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবেন।গর্ভাবস্থায় সিস্ট হলে সিস্টটি যদি পাক খেয়ে ঘুরে না যায় তাহলে সিস্টকে কিছু কিছুই করা হয় না। গর্ভাবস্থার ১৪- ২০ সপ্তাহের মধ্যে সিস্ট সার্জারি করা যেতে পারে।তবে ১৪ সপ্তাহের আগে বা ২০ থেকে ২৪ সপ্তাহের পরে সার্জারি করা যাবে না। ৫ সেন্টিমিটারের নিচে সৃষ্টির অপসারনের প্রয়োজন নেই।এর চেয়ে বড় সিস্ট গুলি অস্ত্র প্রচারের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়।

পিসিওএস ও বন্ধ্যাত্ব একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত।তবে আসার কথা সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে পিসিওএস আক্রান্ত নারী গর্ভধারণ সক্ষম। পিসিওএস রোগের  কারন  এখনো ভালোভাবে জানা যায়নি।  তবে মনে করা হয় যে জেনেটিক এবং পরিবেশগত কারণগুলো মিশ্রণ এই অবস্থার জন্য দায়ী হতে পারে।সাধারণত পিসিওএস ডিম্বাশয় ছোট ফলিকল বা সিস্ট তৈরি হয়, যা ডিম্ব পূর্ণাঙ্গ বা মুক্ত হতে বাধা দিতে পারে এবং সক্রিয় ডিমের উৎপাদনকেও  সীমিত করতে পারে।  টাইপ টু ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ক্যান্সারের মত অন্যান্য আশঙ্কা  বাড়ায়। 

আর পড়ুনঃ জরায়ু সিস্ট দূর করার উপায় 

ওভারিতে সিস্ট দূর করার ঘরোয়া উপায় 

ইস্ট্রোজেন নিয়ন্ত্রণঃ ওভারিতে সিস্ট খাওয়ার অন্যতম কারণ ইস্ট্রোজেন হরমোনের সাম্য নষ্ট হওয়া। ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ বেড়ে গেলে অভিউলেশন অনিয়ম হয়  যার ফলে ওভারিতে সিস্ট তৈরি হয়। তাই সিস্ট রুখতে শরীরে ইস্ট্রোজেন ব্যালেন্সের দিকে খেয়াল রাখুন। সয়া প্রোটিন ও প্রসেসড মিট ইস্ট্রোজেন পরিমাণ বাড়াই। প্লাস্টিকের বোতল থেকে জল খেলেও রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ বাড়তে পারে।তাই ডায়েটে যতটা সম্ভব অর্গানিক মিট ও ডেইরি প্রোডাক্ট রাখুন।এতে ইন্ট্রোজেনে সঠিক মাত্রা বজায় থাকবে।

হারবাল উপায়ঃ বেশ কিছু হারবাল জিনিস এন্ড স্ক্রীন সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। হরমোন সঠিক মাত্রা বজায় রাখা, অভিউলেশন নিয়মিত করতে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে।ডেন্ডি লিওন ও মিল্ক থিসল ইস্ট্রোজেনের সঠিক মাত্রা বজায় রাখে। 

ডায়েটঃ চিকিৎসদের মতে অস্বাস্থ্যকর ডায়েট ও অনিয়মিত লাইভ স্টাইল ওভারিয়ান সিস্টেম এর অন্যতম কারণ। ডায়েটে ফল সবুজ শাকসবজি গোটা শস্যের পরিমাণ বেশি থাকলে সিস্ট মোকাবেলা করা সহজ হবে। 

ওজন নিয়ন্ত্রণঃ অতিরিক্ত ওজন ও বি এম আই বেশি হওয়ার কারণেও  ওভারিয়ান সিস্টে আক্রান্ত হচ্ছেন মহিলারা। মেদ ঝরিয়ে বিএম আপ ২৫ এর নিচে নিয়ে আসতে পারলে  ও ওভারিয়ান সিস্ট সমস্যা অনেকটাই কাটানো যেতে পারে। 

সাপ্লিমেন্টঃ ডায়েট  ও মেদ ঝরানোর পাশাপাশি কিছু ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট হরমোনের ব্যালান্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই ,ফাক্সিড ওয়েল, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি তার মধ্যে অন্যতম।

ওভারিতে সিস্ট দূর করার প্রয়োজনীয় ব্যায়াম 

মহিলারা ওভারি সিস্ট দূর করতে চিন্তিত হয়ে চিকিৎসার পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া ব্যায়াম করতে পারেন। আমরা জানি শরীর ফিট রাখতে আমাদের ব্যায়াম ও হাটা দরকার, এইসব এর পাশাপাশি কিছু ওভারি সিস্টেম ছোট ছোট ইয়োগা বা যোগব্যায়াম রয়েছে।অলসতাকে কাটিয়ে যদি আমরা ইয়োগা  ব্যায়ামের প্রতি মনোযোগী হয়ে  নিয়মিত করতে পারি তাহলে ওভারি টেস্ট দূর করা সম্ভব হবে।  

ওভারি সিস্ট দূরীকরণে সঠিক ব্যায়ামের পাশাপাশি অবশ্যই পুষ্টিকর  খাদ্যের প্রয়োজন রয়েছে।কিছু কিছু ভিটামিনের অভাবে ওভারি সিস্ট সাধারণত হয়ে থাকে যা পুষ্টিকর খাদ্য থেকে পাওয়া যায়। ভিতামিন ডি, ভিতামিন ১২ অভাবে হরমোনের  ভারসাম্য না থাকলে সাধারনত মহিলারা ওভারি টেস্ট ভুগেথাকেন।এইজন্য মহিলারবুদ্ধিমত্তার সাথে যদি দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় শাকসবজি,ফলমূল,গাজর,কার্বোহাইডেট খাবার ইত্যাদি রাখে তাহলে ওভারিয়ান সিস্ট এসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এছাড়া মধু  ও কালোজিরার তেল   ইত্যাদি সারা বছর খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। 

ওভারিতে সিস্ট দূর করা করতে ডাক্তারের পরামর্শ

তরুণী ও মহিলারা অগ্রিম সচেতনতার জন্য মাঝে মাঝে ডাক্তারি পরামর্শ নিতে পারেন।ডাক্তারগন  প্রয়োজন বোধে আলট্রাসন দিতে পারে রোগের নিশ্চিতকরণের জন্য।ডাক্তারগন আলট্রাসোনের পাশাপাশি আরও টেস্ট দিতে পারে যেমন সুগার, টিভি,FSH ইত্যাদি।  ওভারি সিস্টের আকার উপর ভিত্তি করে ডাক্তার কোন মেডিসিন সেবন অথবা অপারেশনের কর্মসূচি থাকেন।স্বাভাবিকভাবে ওভারি সিস্ট এর আকার (৩-৪) সেঃ মিঃ মধ্যে হয়ে থাকে।(৩-৪) সেঃ মিঃ এর বড় হলে অপারেশনের মাধ্যমে কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তারগণ।

অনেক সময় মহিলাদের প্রশ্ন থাকে অপারেশন করলে বাচ্চা হবে কিনা। এই প্রশ্নের উত্তরে যদি বলা যায় তাহলে বলতে পারি মহিলাদের  ওভারি থাকে দুইটা,  একটা কেটে ফেললেও  আরও একটি   ওভারি  দিয়ে  ডিম্ব নিঃসৃত হয়নি যা বাচ্চা উৎপাদনে সহায়তা করে।  

আর পড়ুনঃ ফ্যাটি লিভার দূর করার উপায় 

ওভারিতে সিস্ট দূর করতে প্রয়োজনীয় হোমিওপ্যাথি ওষুধ 

সাধারণত এলোপতি মেডিসিনের দ্বারা ওভারি সিস্ট ভালো করা যায় না। এইজন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে নিতে পারেন।  হোমিওপ্যাথিক  চিকিৎসায়  ওভারি সিস্ট  দূরীকরণের হোমিওপ্যাথি কিছু ওষুধের নামঃ 
  • ক্যালকেরিয়া কারব
  • সিফিলিনাম
  • এপিসমেল 
  • ক্যালকেরিয়া ফ্লোর
সহ আরো লক্ষণ ভিত্তিক ওষুধ রয়েছে। 

তবে এসব ওষুধ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে নিজে নিজে সেবন না করাই ভালো।  আপনার আশেপাশের কোন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক থাকলে তার সাহায্যে বা চিকিৎসা নিতে পারেন,কারণ একা একা চিকিৎসা নিতে হোমিও মেডিসিন সম্পর্কে আপনার বুঝবেন না। 

ওভারি সিস্ট দীর্ঘদিন থাকলে শরীরে কি কি ক্ষতি হয় 

ওভারি সিস্ট হলে মহিলারা অনেক সময় বিচলিত হয়ে পড়ে অথবা ভেঙে পড়ে বর্তমান যুগে ওভারি সিস্ট রোগ হওয়াটা স্বাভাবিক।এখানে ভেঙে পড়ে বা চিন্তিত হয়ে নিজের শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি না করাই ভালো।  কিছু কিছু আনুষাঙ্গিক সমস্যা হতে পারে সাময়িক যেমনঃ 
  •  বাচ্চা না হওয়ার সময় মত 
  • পেটের দুই সাইডে ব্যথা মাঝেমাঝে 
  • অনিয়মিত মাসিক 
  • ঘন ঘন ব্লিডিং হওয়া 
  • বমি বমি ভাব হওয়া ইত্যাদি। 

পরিশেষে

আমার মতামত বর্তমান যুগের ওভারি সিস্ট রোগ হওয়াটা স্বাভাবিকতায় পরিণত হয়েছে।তাই ওভারি সিস্ট হবার আগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে অনেকটা রোগ থেকে মুক্ত হওয়া যায় যেমন পুষ্টিকর শাকসবজি,ফলমূল যথেষ্ট খাওয়া ক্ষতিকর কার্বোহাইড্রেট খাবার গ্রহণ না করা ও চিনির খাবার না খাওয়া ইত্যাদি।কারণ পুষ্টিকর খাবারে ওভারি তার  কার্যকলাপ গুলো সঠিকভাবে পরিচালিত করতে পারে আর এই পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ না করলে ওভারি সিস্ট কেন, আরো রোগ হওয়া সম্ভবনা বেড়ে যায়।

মোট কথা সকল রোগের মূলে রয়েছে ভিটামিন সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার।  তাই ভিটামিন  সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করে  শরীর সুস্থ রাখুন এবং শরীরের যত্নে মনোযোগী হন কারণ স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। আর ওভারি সিস্ট হবার পর এলোপ্যাথি  চিকিৎসা মেডিসিন গ্রহন  না করে বা অপারেশননের ডিসিশনে না গিয়ে সময় নষ্ট না করে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করুন। 








এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

lifechange24 এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url