সোনার দাম বিশুদ্ধতা ও সোনা নিয়ে অজানা তথ্য সম্পর্কে গোপন টিপস
সোনার দাম, বিশুদ্ধতা ও সোনা সম্পর্কিত আরও পরিস্কার ধারনা জানার কৌতূহল রয়েছে আমাদের সকলের।সোনার দাম সম্পর্কে জানলেও সোনার বিশুদ্ধতা,কেন দাম বাড়ে,লোগো, চিহ্ন,কেন ক্যারেট বলে,কোন ক্যারেটে মানে কি ইত্যাদি সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা বা জানার চেষ্টা করি না।
সোনার দাম জানার সাথে সাথে অন্যান্য তথ্যগুলো যে কতটা জরুরি তা এই আর্টিকেলটি পড়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।আজকের এই আর্টিকেলে সোনা সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করবো।তাই মনোযোগ সহকারে ধৈর্য ধরে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।আশা করি আর্টিকেলটিতে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ সোনা নিয়ে অজানা তথ্য সম্পর্কিত
- সোনার দাম সঠিক তথ্য কোথায় পাবেন
- বাংলাদেশে প্রতি ভরি সোনার দাম কত ২০২৫
- বাংলাদেশে এক আনা সোনার দাম কত ২০২৫
- সোনা কেনার সময় কি কি বিষয় খেয়াল রাখতে হয়
- কোন ক্যারেটের সোনা সবচেয়ে বেশি কোয়ালিটি ফুল
- সোনার দাম কেন প্রতিদিন পরিবর্তিত হয়
- সোনার দামে ভ্যাট কি যুক্ত থাকে
- সোনা কত প্রকারের হয়ে থাকে
- সোনার দাম কত-কেন জানবেন
- সোনা কিনে বিনিয়োগ করাটা কতটা নিরাপদ
- পরিশেষে
সোনার দাম সঠিক তথ্য কোথায় পাবেন
সোনার সঠিক তথ্য বা দাম জানা সম্পর্কে বাংলাদেশ একটি প্রতিষ্ঠান প্রচার করে থাকে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন( BAJUS ) সংক্ষেপে একটি বাজুস বলে।
বাজুস ১৯৮৪ সালে ১২ই মে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করে। বাজুসের প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর মূল লক্ষ্য ছিল গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করা দেশীয় স্বর্ণ শিল্পের পৃষ্ঠকর সফলতা করা এবং অলংকার ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করা। এই লক্ষ্যে বাজুসের দেশের প্রতিটি জেলায় জেলা কমিটি রয়েছে যাদের প্রতিনিধিত্ব কেন্দ্রীয় কমিটি করে। বর্তমানে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন প্রায় ১৮ হাজার সদস্য রয়েছে। বাংলাদেশের জুয়েলার্স এর প্রতিটি সদস্য মূলত একটি ব্যবসায়িক সংগঠন। যারা বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম কানুন মেনে ব্যবসা পরিচালনা করে।
বাজুস আন্তর্জাতিক বাজার দেশীয় বাজার এবং সাধারণ বক্তাদের বিবেচনায় নিয়ে দেশীয় বাজারে সোনার দাম নির্ধারণ করে। বিভিন্ন সরকারি মন্ত্রণালয় এবং সংস্থার সাথে সমন্বয় সাধন করে অলংকার শিল্পের উন্নয়ন এবং জাতীয় অর্থনীতিতে এর উল্লেখযোগ্য অবদানের রূপরেখা তৈরি করে এবং যথাযথ ও প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসা সম্প্রসারণ এর জন্য সরকারের সদস্যদের মধ্যে নিয়ম কানুন প্রচার ও প্রণয়ন করে। বাজুস অলংকার ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সাথে সংযোগ স্থাপন বৈদেশিক বাণিজ্য প্রচার এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র নিজেদের প্রচারের জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় অংশগ্রহণ এবং আয়োজনের লক্ষ্য রাখে।
বাংলাদেশের জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন একটি অরাজনৈতিক ও লাভজনক এবং সেবামুখী ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংস্থা যা 1913 সালের কোম্পানি আইনের অধীনে নির্বাচিত এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় লাইসেন্স প্রাপ্ত। বাজুস বাংলাদেশ চেম্বারস অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর প্রথম শ্রেণীর সক্রিয় সদস্যও।
বাংলাদেশে প্রতি ভরি সোনার দাম কত ২০২৫
আজকে বাংলাদেশে প্রতি ভরি সোনার দাম কত জেনে নেওয়া যাক।
ক্যারেট | প্রতি ভরি সোনা দাম |
---|---|
২২ ক্যারেট | ১,৭০,৫৫১ |
২১ ক্যারেট | ১,৬২,৭৯৪ |
১৮ ক্যারেট | ১,৩৯,৫৪৮ |
সনাতন পদ্ধতির সোনা |
১,১৫,৩৯২ |
বাংলাদেশে এক আনা সোনার দাম কত ২০২৫
আমরা প্রতি ভরি সোনার দাম জানার পাশাপাশি ১ আনাতে কত টাকা আসে তা আরও বিস্তারিত জেনে নিই।
ক্যারেট | ১ আনা সোনার দাম | প্রতি ভরি সোনা দাম |
---|---|---|
২২ ক্যারেট সোনা | ১০,৬৫৯ | ১,৭০,৫৫১ |
২১ ক্যারেট সোনা | ১০,১৭৪ | ১,৬২,৭৯৪ |
১৮ ক্যারেট সোনা | ৮,৭২১ | ১,৩৯,৫৪৮ |
সনাতন পদ্ধতির সোনা | ৭,২১২ | ১,১৫,৫৪৮ |
সোনা কেনার সময় কি কি বিষয় খেয়াল রাখতে হয়
সোনা কিনার সময় আপনাকে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে
১ আনা বিশুদ্ধতা তার মূল্য নির্ধারণ করে। অতএব কেনার আগে সোনার পরিমাণ এবং বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করে দেখুন যাতে এটি আপনার চাহিদা পূরণ করে। আপনি যেখানে যেখান থেকেই সোনার গয়না কেননা কেন সর্বদা বিশুদ্ধতা যাচাই করুন।
সোনার গয়না কেনার আগে সর্বদা সোনা বিশুদ্ধতা যাচাই করা ভালো। কোন জিনিসের প্রকৃত সোনার পরিমাণ নির্ধারণের জন্য ক্যারেট এবং সনাতন দুটি পদ্ধতি। আমরা সকলে জানি সর্বোচ্চ মানের সোনা হলো ২৪ ক্যারেট। ২২ ক্যারেট সোনা হলো ২২ শতাংশ সোনার মিশ্রণ যার দুটি অংশ দস্তা বা রুপা।
আসুন বিভিন্ন ধরনের সোনার ক্যারেট এবং তাদের বিশুদ্ধতা সম্পর্কে দেখে নেই
ক্যারেট | % সোনা | বাকি অংশ % থাকে |
---|---|---|
৮ ক্যারেট | ৩৩.৩৩ | তামা,ব্রোঞ্জ,রুপা |
১০ ক্যারেট | ৪১.৭ | তামা,ব্রোঞ্জ,রুপা |
১৪ ক্যারেট | ৫৮.৩৩ | তামা,ব্রোঞ্জ,রুপা |
২১ ক্যারেট | ৮৭.৫ | তামা,ব্রোঞ্জ,রুপা |
২২ ক্যারেট | ৯১.৬৭ | তামা,ব্রোঞ্জ,রুপা |
২৪ ক্যারেট | ৯৯.৯৯ | তামা,ব্রোঞ্জ,রুপা |
হলমার্ক ঃ
সোনাতে যে হলমার্ক কথাটি লিখা থাকে সেটি সম্পর্কে আমরা জেনে নেই। হলমার্কিং হলো সোনার সত্যতার একটি নির্ভরযোগ্য সূচক, তাই হলমার্ক যুক্ত করা হয় না কেননা সর্বদা একটি ভালো ধারণা। অতএব হলমার্ক অনুসন্ধান করা হলো সত্যতা এবং বিশুদ্ধতা নির্ধারণের দ্রুততম এবং সব চেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।
হলমার্ক যুক্ত গহনাগুলি একটি সিরিয়াল নম্বর এবং একটি ক্যারেট স্টাম্প থাকবে। ক্যারেট যে বছরটি হলমার্ক করা হয়েছিল এবং জুয়েলার চিহ্ন হলো হলমার্কের উপাদান। তাছাড়া জুয়েলাররা তাদের পণ্য শনাক্ত করার জন্য তাদের হলমার্ক ব্যবহার করে যেমন উৎপাদনের বছর এবং ধাতুর বিশুদ্ধতা।
কোন ক্যারেটের সোনা সবচেয়ে বেশি কোয়ালিটি ফুল
কোন ক্যারেটের সোনা সবচেয়ে বেশি কোয়ালিটি ফুল তা বুঝতে গেলে আমাদেরকে আগে জানতে হবে ক্যারেট মানে কি। আসুন আমরা ক্যাডেট মানে একটু বিস্তারিত জেনে নিন।
ক্যারেটঃ ক্যারেট হল সোনার বিশুদ্ধতার একটি পরিমাপ যেখানে ২৪ ক্যারেট সোনা হলো সবচেয়ে বিশুদ্ধ রূপ। ক্যারেটের পরিমাপ বেশি হলে ধাতুতে সোনার পরিমাণ বেশি থাকে।
২২ ক্যারেট সোনা ওজনের দিক থেকে ২৪ ভাগের স্কেলে ২২ভাগ সোনা থাকে। বাকি দুই খনিজ কত তো জীবন এমনি নিকেল দশটা পিতল এবং অন্যান্য সংকর ধাতু। এটিকে কখনো কখনো একানব্বই দশমিক ৭% খাঁটি সোনা বলা হয়। শঙ্ককর ধাতুর সাথে মিলিত হলে সোনা শক্ত হয়ে যায় যা এটিকে সোনার গহনার জন্য একটি আদর্শ পছন্দ করে তোলে।
১৮ ক্যারেট সোনার গঠন ৭৫ পার্সেন্ট সোনা এবং ২৫% অন্যান্য ধাতু যার মধ্যে তামা পিতল ব্রঞ্চ এবং অন্যান্য সংকর ধাতু রয়েছে। পাথর কচি ও হীরার গহনা তৈরিতে এই সোনা ব্যবহার করা হয়। ২৪ ক্যারেট এবং ২২ ক্যারেট সোনার তুলনায় এটি আরো সাশ্রয়ী।
সোনা সোনার সূক্ষ্মতা
সোনা রুপা এবং অন্যান্য মূল্যবান ধাতুতে সূক্ষ্মতা প্রতি হাজারে অন্যান্য ধাতুর সাথে সোনার শতাংশের পরিমাণ প্রকাশ করে। তাই এটি ক্যারেটে তুলনায় অনেক বেশি সুনির্দিষ্ট স্কেল এবং এক নজরে বোঝা অনেক সহজ। এই পদ্ধতিতে ৯৯৯.৯ হল খাঁটি সোনা যা উপরে উল্লেখিত 24 ক্যারেটের সমতুল্য।
আরও পড়ুন ঃ ক্যারেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
সোনার দাম কেন প্রতিদিন পরিবর্তিত হয়
চাহিদা আর্থিক বা সামাজিক কারণে ভোক্তাদের চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং হ্রাস পায়। প্রযুক্তিতেও আমার সোনার অনেক ব্যবহার রয়েছে নতুন প্রযুক্তি চাহিদা বৃদ্ধি দেখতে পারে। সার্বরাহ যদি চাহিদা পূরণ করতে না পারে তবে দাম বেড়ে যায় সরবরাহ যদি চাহিদা ছাড়িয়ে যায় তবে দাম কমে যায়।
সাপ্লাই ক্ষণিকৃত সোনার পরিমাণ প্রভাবিত করতে পারে। খনি কোম্পানিগুলো অনেক সময় বন্ধ হয়ে যায় খনি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে যায় যেখানে অবশিষ্ট কোনো শোনা উত্তোলনের উত্তোলন করা যায় না।
মুদ্রা ইস্মিতি সোনা মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে একটি জনপ্রিয় এবং কার্যকর। মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধি পেলে মুদ্রার মূল্য হ্রাস পায় পেলেও এটি সোনাকে প্রবাহিত করে না।মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধি পেলে বিনিয়োগকারীরা সোনাই বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন। এর ফলে সোনা চাহিদা বৃদ্ধি পায় যা সোনার দাম কে প্রভাবিত করতে পারে।
সুদের হার একটি আকর্ষণীয় উপায়ে সোনার দাম কে প্রভাবিত করে। যখন সুদের হার বৃদ্ধি পায় তখন বিনিয়োগকারীরা তাদের সোনা বিক্রি করে উচ্চ সুদের হারের সুবিধা উপভোগ করার জন্য আমানতের বিনিয়োগ করার পরিণত পোষণ করে। এর অর্থ হল সোনা চাহিদা কমে যায় যার ফলে সোনার দাম কমে যায়। বিপরীতে যখন সুদের হার কমে যায় তখন বিনিয়োগকারীরা আমানত এড়িয়ে সোনাই বিনিয়োগ করা ইচ্ছা পোষণ করে। এ পরিস্থিতিতে সোনার চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং তারপরে সোনার দাম বৃদ্ধি পায়। সুতরাং এটা বলা যেতে পারে যে সোনার দাম সুদের হারের সাথে বিপরীতভাবে পরিবর্তিত হয়।
সরকারি সোনার মজুদ, স্যার পার্সোনাল মজুদ ধারণ করে এবং পরিচালনা করে। সরকার রিজার্ভ ব্যাংকের মাধ্যমে সোনা কিনতেও বা বিক্রি করতে পারে। এ কার্যকলাপ গুলির দেশে রূপান্তরের সোনার দাম কে প্রভাবিত করে কারণ সরকার যখন সোনার ক্রয় করে তখন বাজারে সোনার সরবরাহ হ্রাস পায় এবং বাজারে নগদ তথ্য প্রবেশ করে। এর ফলে সোনার দাম কমতে থাকে।
আমদানি, আমদানি পরিমাণও দেশের অভ্যন্তরে সোনার দামে একটি নির্ধারিত ফ্যাক্টর। যেকোনো দেশের ভোক্তা চাহিদা পড়নের উদ্দেশ্যে সোনা আমদানি করতে হয়। যখন আমদানি চুল পূর্ণতা করা হয় তখন সোনার প্রাপ্যতা বৃদ্ধি সাথে সাথে সোনার দাম হ্রাস পায়।
সোনার বাজার, যখন কোন দেশে গণনার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায় বিশেষ করে উৎসব ও বিবাহের মৌসুমে তখন এর ফলে সোনার দাম বৃদ্ধি পায়।
সোনার দামে ভ্যাট কি যুক্ত থাকে
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাসুস গ্রাহকদের সোনা কেনার ক্ষেত্রে পাঁচ পারসেন্ট মূল্য সংশোধন কর প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন। সরকার ৫% হারে ভ্যাট নির্ধারণ করেছে। অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য আমাদের এই কর প্রদান করা উচিত। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা সোনা প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য ৬ পার্সেন্ট মজুরি জনপ্রিয় করার ওপর জোর দেন। ভারত শ্রীলংকা চীন এবং ইতালি সহ দেশগুলোতে ৬ পার্সেন্ট থেকে ৩৫ পার্সেন্ট মজুরিতে সোনার অলংকার বিক্রি করা হয়। বাংলাদেশের সর্বনিম্ন মজুরি ৬ পার্সেন্ট বলেন ডক্টর দিলীপ।
আরও পড়ুন ঃ সোনার মাপ সম্পর্কে জানুন
সোনা কত প্রকারের হয়ে থাকে
সোনা বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে নিচে এর প্রকার ভেদ দেয়া হলঃ
- ইয়োলো গোল্ড
- হোয়াইট গোল্ড
- রোজ গোল্ড
- গ্রীন গোল্ড
- গ্রে গোল্ড
- স্পেন গোল্ড
- পারপেল গোল্ড
- ব্লু গোল্ড
- ব্ল্যাক গোল্ড
সোনার দাম কত-কেন জানবেন
স্বর্ণ সহস্রাব ধরে মানবজাতিকে মুগ্ধ করে আসছে এটি কেবল সম্পদের প্রতীক হিসেবেই নয় বরং বিশ্বব্যাপী আর্থিক ব্যবস্থার ভিত্তি প্রস্তাব হিসেবেও কাজ করে। বিনিয়োগকারী অর্থনীতিবিদ এবং এই মূল্যবান ধাতুস মূল্য সম্পর্কে আগ্রহী যে কারো জন্য সোনার দাম কি তা বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্দেশিকাটি এই দাম কে কিভাবে প্রভাবিত করে তা অন্বেষণ করে।
মূল বিষয়গুলি
সোনার দাম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ এবং তাদের ক্রয় প্রবণতা দ্বারা প্রভাবিত হয়। অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক স্থিতি ছিল তা একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে সোনার চাহিদা বৃদ্ধি করে। বিশ্বব্যাপী সোনার উৎপাদন এবং খনির চ্যালেঞ্জ সোনা সরবরাহ এবং দাম কে প্রভাবিত করে। গয়না এবং প্রযুক্তি খাতে সোনা চাই দাও এর দাম কে প্রভাবিত করে।
আরও পড়ুন ঃ সোনাতে বিনিয়োগ করতে পারেন
সোনা কিনে বিনিয়োগ করাটা কতটা নিরাপদ
সোনাকে প্রায়ই নিরাপদ আশ্রয়স্থল বলা হয়। কিন্তু কেন। অর্থনৈতিক ও নিশ্চয়তা সময়ে যখন আর্থিক বাজার গুলি দোদুল্যমান থাকে তখন সোনা তার স্থিতিশীলতার সাথে জ্বলজ্বল করে। কাগজের মুদ্রার বিপরীতে যা তাদের মূল্য হারাতে পারে, সোনা তার ক্রয় ক্ষমতা ধরে রাখে। এটি একটি বাস্তব সম্পদ কোন নির্দিষ্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থা বা অর্থনীতির সাথে আবদ্ধ নয়। সোনা সার্বজনীন স্বীকৃত এবং সর্বত্র বিক্রি হয়।
পরিশেষে
আমার মতামত, মানুষের জীবনে সোনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।সোনার দাম নিয়ে কৌতূহল হলে আমাদের চলবে না। সোনা কি, সোনার ক্যারেট,কোনটাতে কত শতাশ সোনা ইত্যাদি সম্পর্কে আমাদের ভালভাবে জেনে নিতে হবে।
আশা করি আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা অনেক কিছু বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আপনারা সোনা নিয়ে পুঙ্খানুভাবে জানতে বা বুঝতে পারলে আমার এই আর্টিকেলটি লিখাতে সার্থকতা আসবে। আমার এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
lifechange24 এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url