*/

ডিপ্রেশন দূর করার ১০টি ঘরোয়া গোপন রহস্য

 

ডিপ্রেশন দূর করা খুব কঠিন অনেকেই আমরা মনে করি।কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন আপনার হাতেই ডিপ্রেশন দূর করার উপাই রয়েছে যা আমরা অনেকেই জানিনা। ডিপ্রেশন মানে হল বিষণ্ণতা। বিষণ্ণতা আসে মানুষের ব্রেনের কিছু  ডিজ অর্ডার এর কারনে। আর ডিস অর্ডার হয় সেরোটোনিন নামক হরমোনের ঘাটতির ফলে। 

বিষণ্ণতা-রোগ-ঘরোয়া-উপায়ে-চিকিৎসক-ছাড়া-দূর-করুন

ডিপ্রেশন কি কারনে হয় যদি আমরা কারণটা জানতে পারি তাহলে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই পরিত্রান পেতে পারি। আজকের এই আর্টিকেলে ডিপ্রেশন সম্পর্কে বিস্তারিত আলচনা করবো।তাই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্র ঃ খুব সহজেই ডিপ্রেশন দূর করতে করনীয়

ডিপ্রেশন বলতে কি বোঝাই

আমাদের শরীরে অন্যান্য রোগের মত ডিপ্রেশন বা বিশ্বনত অন্যতম যা সহজে দূর করা যায় আবার অনেক সময় অনেক শরীর থেকে দূর করা কঠিন হয়ে যায়। আমাদের আমাদের ব্রেনে বিভিন্ন হরমোন আছে তার মধ্যে সেই রকম ইন অন্যতম। এই ছেড়েও সেরোটোনিন লেভেল অনেক সময় কমে যাওয়ার ফলে এই ধরনের মেন্টালি ডিজঅর্ডার ঘটে। আর এই শেরাটনিন কমার পেছনে লেভেল কমার পিছনে অনেক কারণ দায়ী এর মধ্যে আবেগ দুঃখ কষ্ট হঠাৎ কষ্ট পাওয়া দুঃখ পাওয়া ইত্যাদি জড়িত রয়েছে।

ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা একটি সাধারণ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যা মানুষকে প্রভাবিত করে। বিষন্নতা আপনার অনুভূতি চিন্তাভাবনা এবং আচরণকে প্রভাবিত করে এবং এর শারীরিক লক্ষণও রয়েছে। বিষন্নতা নিজের সম্পর্কে কেমন অনুভূতি তৈরি করে তা প্রভাবিত করে। আপনার সাধারণত যে জিনিসগুলি উপভোগ করেন সেগুলিকে আপনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে। আপনার সাধারণত যে জিনিসগুলি উপভোগ করেন সেগুলি আপনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে আপনার সত্যিই অবব হতে পারে ঘুমাতে সমস্যা হতে পারে অথবা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘুমাতে পারেন। কিছু লোক বিরক্ত বোধ করে এবং কিছু লোক মনোযোগ দিতে অসুবিধা বোধ করে। 

ডিপ্রেশন এর লক্ষন 

বিষন্নতার অনেক লক্ষণ রয়েছে যেগুলো নিচে প্রদান করা হলোঃ  
  • হতাশ দুঃখিত অভিষন্ন বোধ করা 
  • স্বাভাবিক কার্যকলাপে আগ্রহ এবং আনন্দ দাস 
  • খিটকিটে মেজাজ 
  • ঘুমের ধরন পরিবর্তন 
  • খোদা পরিবর্তন 
  • শক্তিরাশ ক্লান্তি এবং ক্লান্তি সাধারণ 
  • স্পষ্ট ভাবে চিন্তা করতে অসুবিধা 
  • হতাশা এবং মৃত্যুর চিন্তা
  • বেশি ব্যথা মাথা ব্যথা জনতা হারানো শক্তি হারানো আত্মবিশ্বাসের অভাব 
  • নিজেকে অপরাধী ভাবা 
এছাড়া বিষণ্নতা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বারবার নেতিবাচক চিন্তাভাবনা আসতে পারে যেমনঃ  
  • আমি ভালো নয় 
  • সব আমার দোষ 
  • জীবনে বেঁচে থাকার যোগ্য নয় 
  • মানুষ আমাকে ছাড়া ভালো থাকতো 
  • বেঁচে থেকে আর কি লাভ হবে

ডিপ্রেশন এর প্রকারভেদ 

বিষন্নতা বা ডিপ্রেশন বিভিন্ন প্রকারের রয়েছে তার মধ্যে কিছু প্রকারভেদ উল্লেখ করা হলোঃ 
  1. মেজর ডিপ্রেশন
  2. বাইপলার ডিজঅর্ডার 
  3. সাইকো ট থাইমিক ডিসঅর্ডার 
  4. ডিসকানেক ডিসঅর্ডার 
  5. সিজিনাল এফেক্টিভ ডিসঅর্ডার 
  6. পেরিনাটাল ডিপ্রেশন

ঘরোয়া ভাবে নিজে নিজে যেভাবে ডিপ্রেশন দূর করার টিপস 

 বিষন্নতা বা ডিপ্রেশন ঘরোয়া ভাবে অনেক সময় দূর করা সম্ভব হয়।তার জন্য কিছু টিপস রয়েছে। 

  • বেশি বেশি দুরুধ শরীফ পাঠ করা
  • রাতে দ্রুত ঘুমা 
  • প্রতিদিন হাঁটা বা ব্যায়াম করা
  • বিকালে নিরিবিলি জাইগাতে প্রতিদিন ঘুরতে যাওয়া 
  • একাকীত্ব না থেকে বাড়িতে কোন কিছু নিয়ে ব্যাস্ত থাকা যেমন বই পড়া,টিভি দেখা ইত্যাদি।  

ডিপ্রেশন কাদের প্রভাবিত করে

বিষন্নতা সরাসরি ব্যক্তিকে মানসিকভাবে আঘাত করে একজন ব্যক্তি সাধারণত সবাইকে দেখাতে থাকে যে সে কতটা খুশি। মানুষ মনে করে যে বিষন্নতা মানুষকে চুপ করে দেয় অথবা জিনিসপত্রের প্রতি কম আগ্রহি করে  তোলে ইত্যাদি।
 
কিন্তু বাস্তবে যারা বিষন্নতা কারণে আত্মহত্যা প্রবণতা পোষণ করে তাদের বেশিরভাগই বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যায়।তারা হঠাৎ করে খুব খুশি হয়ে ওঠে যারা আগে কখনো হাসতো না তারা হঠাৎ করে সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করতে শুরু করে অথবা সবকিছু উপভোগ করতে শুরু করে।কিন্তু শেষ পর্যন্ত এরাই আত্মহত্যা করার প্রবণতা বেশি করে।
 
বিষয় সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায়।প্রায় সবকিছুকে নেতিবাচক ভাবে নেই অতিরিক্ত চিন্তাভাবনার মত নয় কিন্তু তাদের চিন্তা ভাবনা প্রায় তাদের মত হয়।
 

আরও পড়ুনঃ অস্থিরতা দূর করতে কার্যকরী টিপস সম্পর্কে জানুন 

ডিপ্রেশন  কতটা সাধারন

বিষন্নতা, ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন নামে পরিচিত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে সাধারণ মানসিক ব্যাধি গুলোর মধ্যে একটি। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ আনসারে আনুমানিক ২.১ কোটি  প্রাপ্তবয়স্ক ২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কমপক্ষে একটি বড় ধরনের বিষন্নতার পর্বে সম্মুখীন হয়েছেন। এটি প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যা ৮.৩% এর সমান। 

২০২৪ সালের একটি নিবন্ধন বলা হয়েছে যে ১০০ জনের মধ্যে ১৬ থেকে ২০ জন তাদের অন্তত একবার প্রায় ৩০ বছর বয়সের আগে বড় ধরনের বিষন্নতা জনিত ব্যাধি, বাই স্থায়ী বিষন্নতা জননী সম্মুখীন হন। 

প্রাপ্তবয়স্ক এবং কিশোরী মহিলাদের মধ্যে বিষন্নতার হার-পুরুষদের তুলনায় বেশি। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন কেন এটি হয়। তবে সম্ভবত এটি জীববিজ্ঞান জেনেটিক্স সাংস্কৃতিক এবংআর্থ সামাজিক কারণ গুলি সংমিশ্রণ কারনে হতে পারে। 

বিষন্নতা সকল বয়সের মানুষকে প্রভাবিত করে তবে এর প্রকভ ভিন্ন হতে পারে। বয়স্কদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায় তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তরুণদের মধ্যে বিছানো তার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ডিপ্রেশন কিভাবে নির্ণয় করা হয় 

আপনার মানসিক স্বাস্থ্য অথবা আপনার যত্নশীল কারো মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যদি আপনি উদ্বেগ হন তাহলে একজন স্বাস্থ্য অফিসার যেমন একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক স্বাস্থ্য মূল্য সাধারণত আলোচনা বা প্রশ্নাবলির উত্তর দেওয়া পাশাপাশি শারীরিক পরীক্ষা করার জড়িত থাকে। এটি আপনার ডাক্তারকে আপনার লক্ষন গুলির কারণ সনাক্ত করতে সাহায্য করবে। 
আপনার ডাক্তার বুঝতে চাইবেন যে আপনি কেমন অনুভব করেন এবং চিন্তা করেন এবং বিষন্নতার কোন লক্ষণ আছে কিনা যেমন আপনার শক্তির স্তর ক্ষুধা ঘুমের পরিবর্তন এবং আপনি অস্থির হতাশ বা দুঃখিত বোধ করছেন কিনা তা পরীক্ষা করতে চাইবেন। 
আপনার যদি মানসিক অসুস্থতার পারিবারিক ইতিহাস থাকে তা বিষন্নতা বা অন্য কোন অবস্থা তাহলে আপনার ডাক্তারকে বলুন কারণ এটি আপনার রোগ নির্ণয়ে সাহায্য করতে পারে।
 

আরও পড়ুনঃ ডিপ্রেশন দূর করতে ব্যায়াম সম্পর্কে জানুন 

কিভাবে  ডিপ্রেশনের চিকিৎসা করা হয়

এন্টি ডিপ্রেশন আন্টি ডিপেসেন্ট ওষুধের বিভিন্ন শ্রেণী রয়েছে। এন্টি ডিপ্রেশেন্ট সাধারণ শ্রেণীর মধ্যে রয়েছে 

  • নির্বাচিত সেরোটোনিন রিআপডেট 
  • সেরোটোনিন ইন আপহেরিটর  
  • সেরোটোনিন মডুলেটর
পুরনো কম ব্যবহৃত এন্টি ডিপ্রেশেন্ট গুলির মধ্যে রয়েছে 
  • ট্রাই সাইক্লিক এন্টিডিপ্রেসেনটস 

ডিপ্রেশন কিভাবে প্রতিরোধ করা যাই 

আপনি যদি বিছানাতে ঝুঁকিতে বেশি থাকেন তবুও লক্ষণ গুলি দূরে থাকার জন্য আপনি অনেক কিছু করতে পারেন। আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করার জন্য কিছু প্রমাণিত কৌশলের মধ্যে রয়েছে। 
  • ব্যায়াম করা 
  • ক্ষতিকারক মাত্রা অ্যালকোহল বা অন্যান্য পদার্থের ব্যবহারের আলো 
  • পর্যাপ্ত ঘুম পাওয়া  
  • অর্ধেক কামানো  যেমন শিথিল করণ কৌশলে মাধ্যমে 
  • সামাজিকভাবে থাকা যাতে আপনি বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এড়তে পারেন। 

আরও পড়ুন ঃ ঘুমের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানুন  

লেখকের বক্তব্যঃ ডিপ্রেশন দূর করতে পর্যাপ্ত ঘুম সম্পর্কে জানুন

আমার মতামত, ডিপ্রেশন একটি সাধারন রোগ।আমরা যদি এই রোগটাকে কঠিন মনে করি তাহলে শরীর থেকে দূর করা মুশকিল হবে।ইতিপূর্বে আমরা জেনেছি যে ব্রেনে সেরোটোনিন হরমোন কমে গেলে বিষণ্ণতা আসে।তাই সেরোটোনিন হরমোন যাতে বৃদ্ধি পাই সেই সব কাজগুলো আমাদের বেশি বেশি করতে হবে। 

পৃথিবীতে এখন অসম্ভব বলে কিছু নেই।মনোযোগ দিয়ে চেষ্টা করলে ডিপ্রেশন দূর করা অবশ্যই সম্ভব হবে।আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার জীবনে প্রয়োগ করে যদি সুস্থ হতে পারেন তাহলে আমার সার্থকতা আসবে।আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

lifechange24 এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url