ডিপ্রেশন দূর করার ১০টি ঘরোয়া গোপন রহস্য
ডিপ্রেশন দূর করা খুব কঠিন অনেকেই আমরা মনে করি।কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন আপনার হাতেই ডিপ্রেশন দূর করার উপাই রয়েছে যা আমরা অনেকেই জানিনা। ডিপ্রেশন মানে হল বিষণ্ণতা। বিষণ্ণতা আসে মানুষের ব্রেনের কিছু ডিজ অর্ডার এর কারনে। আর ডিস অর্ডার হয় সেরোটোনিন নামক হরমোনের ঘাটতির ফলে।
পোস্ট সূচীপত্র ঃ খুব সহজেই ডিপ্রেশন দূর করতে করনীয়
ডিপ্রেশন বলতে কি বোঝাই
ডিপ্রেশন এর লক্ষন
- হতাশ দুঃখিত অভিষন্ন বোধ করা
- স্বাভাবিক কার্যকলাপে আগ্রহ এবং আনন্দ দাস
- খিটকিটে মেজাজ
- ঘুমের ধরন পরিবর্তন
- খোদা পরিবর্তন
- শক্তিরাশ ক্লান্তি এবং ক্লান্তি সাধারণ
- স্পষ্ট ভাবে চিন্তা করতে অসুবিধা
- হতাশা এবং মৃত্যুর চিন্তা
- বেশি ব্যথা মাথা ব্যথা জনতা হারানো শক্তি হারানো আত্মবিশ্বাসের অভাব
- নিজেকে অপরাধী ভাবা
- আমি ভালো নয়
- সব আমার দোষ
- জীবনে বেঁচে থাকার যোগ্য নয়
- মানুষ আমাকে ছাড়া ভালো থাকতো
- বেঁচে থেকে আর কি লাভ হবে
ডিপ্রেশন এর প্রকারভেদ
- মেজর ডিপ্রেশন
- বাইপলার ডিজঅর্ডার
- সাইকো ট থাইমিক ডিসঅর্ডার
- ডিসকানেক ডিসঅর্ডার
- সিজিনাল এফেক্টিভ ডিসঅর্ডার
- পেরিনাটাল ডিপ্রেশন
ঘরোয়া ভাবে নিজে নিজে যেভাবে ডিপ্রেশন দূর করার টিপস
বিষন্নতা বা ডিপ্রেশন ঘরোয়া ভাবে অনেক সময় দূর করা সম্ভব হয়।তার জন্য কিছু টিপস রয়েছে।
- বেশি বেশি দুরুধ শরীফ পাঠ করা
- রাতে দ্রুত ঘুমা
- প্রতিদিন হাঁটা বা ব্যায়াম করা
- বিকালে নিরিবিলি জাইগাতে প্রতিদিন ঘুরতে যাওয়া
- একাকীত্ব না থেকে বাড়িতে কোন কিছু নিয়ে ব্যাস্ত থাকা যেমন বই পড়া,টিভি দেখা ইত্যাদি।
ডিপ্রেশন কাদের প্রভাবিত করে
আরও পড়ুনঃ অস্থিরতা দূর করতে কার্যকরী টিপস সম্পর্কে জানুন
ডিপ্রেশন কতটা সাধারন
বিষন্নতা, ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন নামে পরিচিত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে সাধারণ মানসিক ব্যাধি গুলোর মধ্যে একটি। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ আনসারে আনুমানিক ২.১ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক ২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কমপক্ষে একটি বড় ধরনের বিষন্নতার পর্বে সম্মুখীন হয়েছেন। এটি প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যা ৮.৩% এর সমান।
২০২৪ সালের একটি নিবন্ধন বলা হয়েছে যে ১০০ জনের মধ্যে ১৬ থেকে ২০ জন তাদের অন্তত একবার প্রায় ৩০ বছর বয়সের আগে বড় ধরনের বিষন্নতা জনিত ব্যাধি, বাই স্থায়ী বিষন্নতা জননী সম্মুখীন হন।
প্রাপ্তবয়স্ক এবং কিশোরী মহিলাদের মধ্যে বিষন্নতার হার-পুরুষদের তুলনায় বেশি। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন কেন এটি হয়। তবে সম্ভবত এটি জীববিজ্ঞান জেনেটিক্স সাংস্কৃতিক এবংআর্থ সামাজিক কারণ গুলি সংমিশ্রণ কারনে হতে পারে।
বিষন্নতা সকল বয়সের মানুষকে প্রভাবিত করে তবে এর প্রকভ ভিন্ন হতে পারে। বয়স্কদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায় তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তরুণদের মধ্যে বিছানো তার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ডিপ্রেশন কিভাবে নির্ণয় করা হয়
আরও পড়ুনঃ ডিপ্রেশন দূর করতে ব্যায়াম সম্পর্কে জানুন
কিভাবে ডিপ্রেশনের চিকিৎসা করা হয়
এন্টি ডিপ্রেশন আন্টি ডিপেসেন্ট ওষুধের বিভিন্ন শ্রেণী রয়েছে। এন্টি ডিপ্রেশেন্ট সাধারণ শ্রেণীর মধ্যে রয়েছে
- নির্বাচিত সেরোটোনিন রিআপডেট
- সেরোটোনিন ইন আপহেরিটর
- সেরোটোনিন মডুলেটর
- ট্রাই সাইক্লিক এন্টিডিপ্রেসেনটস
ডিপ্রেশন কিভাবে প্রতিরোধ করা যাই
- ব্যায়াম করা
- ক্ষতিকারক মাত্রা অ্যালকোহল বা অন্যান্য পদার্থের ব্যবহারের আলো
- পর্যাপ্ত ঘুম পাওয়া
- অর্ধেক কামানো যেমন শিথিল করণ কৌশলে মাধ্যমে
- সামাজিকভাবে থাকা যাতে আপনি বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এড়তে পারেন।
আরও পড়ুন ঃ ঘুমের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানুন
লেখকের বক্তব্যঃ ডিপ্রেশন দূর করতে পর্যাপ্ত ঘুম সম্পর্কে জানুন
আমার মতামত, ডিপ্রেশন একটি সাধারন রোগ।আমরা যদি এই রোগটাকে কঠিন মনে করি তাহলে শরীর থেকে দূর করা মুশকিল হবে।ইতিপূর্বে আমরা জেনেছি যে ব্রেনে সেরোটোনিন হরমোন কমে গেলে বিষণ্ণতা আসে।তাই সেরোটোনিন হরমোন যাতে বৃদ্ধি পাই সেই সব কাজগুলো আমাদের বেশি বেশি করতে হবে।
পৃথিবীতে এখন অসম্ভব বলে কিছু নেই।মনোযোগ দিয়ে চেষ্টা করলে ডিপ্রেশন দূর করা অবশ্যই সম্ভব হবে।আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার জীবনে প্রয়োগ করে যদি সুস্থ হতে পারেন তাহলে আমার সার্থকতা আসবে।আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
lifechange24 এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url